ইজ মিউজিক হালাল?
এ বইটি মুসলিম-অমুসলিম, যুবক-বৃদ্ধ, ছাত্র-শিক্ষক নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের জন্য চমৎকার একটি রচনা। মিউজিক কেউ ভালোবাসুক বা না বাসুক—গ্রন্থটির পরিসর সবাইকে ঘিরেই। ইসলামে মিউজিকের প্রকৃত অবস্থান জানানো এবং অন্বেষণকারীদের জন্য তিয়াস নিবারণ গ্রন্থটির প্রধান উদ্দেশ্য। তবে ধর্মীয় সূত্র ছাড়াও এখানে স্থান পেয়েছে সামাজিক, ঐতিহাসিক এবং চিকিৎসাবিজ্ঞান থেকে সংগৃহীত অসংখ্য দলিল-প্রমাণ। ফলে বইটির গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে গেছে বহুগুণে। মিউজিক ও ইসলাম সম্পর্কে আমাদের না জানা, না বোঝা কিংবা ভুল বোঝার অবসান আবদ্ধ রয়েছে এই দুই মলাটের মধ্যে।
বিনোদনের যত মাধ্যম আছে তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় মাধ্যমগুলোর তালিকা করা হলে মিউজিক সম্ভবত একেবারে প্রথম কাতারে থাকবে।শুধু বিনোদন হিসেবে নয় ডিপ্রেশন দূরীকরণের মাধ্যম হিসেবেও বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে মিউজিক।মিউজিকের অনেক খারাপ দিক থাকতে পারে–যেকোন কিছুরই ত কোন না কোন খারাপ দিক রয়েছে–তাই বলে কি মিউজিকের উপকারীতা চাইলেই অস্বীকার করা যায়?
মিউজিক মানবদেহের জন্য কতটা উপকারী?মিউজিক শুনার ওপর মানবদেহে প্রভাব সম্পর্কে বিজ্ঞান কি বলে?যেকোন মিউজিকই হারাম নাকি হালাল মিউজিকও রয়েছে?মিউজিক শুনে কে কত উপকারীতা পেয়েছে; গবেষণাপত্র কি বলে?সর্বোপরি মিউজিকের কার্যকরীতা এবং বিজ্ঞানের আলোকে এর হালাল বা হারাম হওয়ার বিধান ইত্যাদি সম্পর্কে অত্যন্ত সূক্ষ্ম ও বেশ তথ্যবহুল আলোচনা রয়েছে বইটিতে।মিউজিকের উপকারীতা কিংবা অপকারীতা সম্পর্কে শুধু বাংলায় নয় উন্নত বিশ্বেও যত বই রচিত হয়েছে তার মধ্যে বইটি অবশ্যই টপ টেনে থাকার যোগ্যতা রাখে বলেই আমার বিশ্বাস।
Post a Comment