ডার্ক সাইড অব ব্রিটিশ এম্পায়ার
লেখক : আদনান রশীদ, শশী থারুরপ্রকাশনী : প্রজন্ম পাবলিকেশনবিষয় : ইতিহাস ও ঐতিহ্যঅনুবাদক : টিম নোমাডপৃষ্ঠা : 64, ভারসন : পিডিএফ
যুক্তরাজ্যে বসে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক অতীতের কথা শুনলে মনে হয় ব্রিটেনের চেয়ে বন্ধুত্বপূর্ণ আর কেউ হয়না। তারা ভারতবর্ষের বর্বর কৃষকদেরকে সভ্য করেছে, গণতন্ত্র ও শিক্ষা দিয়েছে। তারা রেল ব্যবস্থার উন্নতি করেছে। সতীদাহের মতো ভয়ঙ্কর সব সংস্কারকে বন্ধ কররেছে। হোয়াট ম্যান’স বার্ডেন চুকিয়েছে বেশ ভালোভাবেই। এর বিনিময়ে যা নিয়েছে তা তো নস্যি।
সত্যিই কি তাই? ৪০ বছরে ১০০ কোটি মানুষের রক্তের দাম কি কোনো গণতন্ত্র, সভ্যতা ও রেলপথ? ব্রিটেন কেমন ছিল? তারা কেন এলো, কী দিল, কী নিয়ে গেল, কেন লাশের বহর রেখে গেল? ঠিক কীভাবে ভারত সবচেয়ে ধনী দেশ থেকে দরিদ্রতম দেশ হয়ে গেল? তাদের ভারত ছাড়তে হলো কেন?
জানতে চান? তাহলে এই বইটি শুধু আপনার জন্য। এই বইটি আপনাকে কেবল একটি ভয়ঙ্কর, মর্মান্তিক অতীতে নিয়ে যাবে না, আমাদের বীরদেরও দেখাবে যারা কোনোভাবেই অত্যাচারী শক্তির সাথে আপোষ করেনি।
বইয়ের লেখকরা যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এই বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রকাশক খুবই কাঁচা কাজের পরিচয় দিয়েছেন বইটিতে।
বইয়ের শুরুতে কোনো ভূমিকা নেই। এটা বক্তৃতার সংকলন, নাকি প্রবন্ধের অনুবাদ, না অন্য কিছু, বোঝার উপায় নেই। ‘আদনান রশিদ’, ‘শশী থারুর’ এবং অন্যান্য যাদের নাম বইটিতে রয়েছে, তারা কারা, তাদের ব্যক্তিত্ব কী, তাদের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। এখানে আমরা মূল লেখায় আসি। পবিত্র ধর্মগ্রন্থ পড়ার সময়, স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে এটি একজন ব্যক্তির ব্যক্তিগত "মতামত" এর উপর ভিত্তি করে। "ইতিহাস" এর কোন রেফারেন্স নেই যা লেখা এবং বিবৃতিগুলি নির্দেশ করে। শুধুমাত্র নির্দিষ্ট বই উল্লেখ করা হয়েছে, যেখান থেকে লেখক অভিযোগ করেছেন তথ্য আঁকেন। কিন্তু ইতিহাস নিয়ে কথা বলতে চাইলে যে কেউ কিছু বলতে পারেন। নির্বাসন ছাড়া তাদের কোন শক্ত ভিত্তি নেই। একজন সাধারণ পাঠক হয়ে কেন এই কথাগুলো মেনে নেব?বইয়ের লেখকরা যে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এই বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু প্রকাশক খুবই কাঁচা কাজের পরিচয় দিয়েছেন বইটিতে। - (আহমেদ শামিম হাসান)
Post a Comment