খুশু-খুযু
বইটি কেন পড়বেন?
নামাজ সম্পর্কে একটা ওভারঅল ধারনা পাওয়া যাবে বইটিতে। নামাজে কিভাবে আরো প্রশান্তি পাওয়া যায়, ধীর স্থিরভাবে পড়া যায় সেই টোটকা আছে বই
বইটিকে মোট ৫ টি অধ্যআয়ে ভাগ করা হয়েছে।
১ম অধ্যায়ে নামাজের প্রতিটি আনুষ্ঠানিকতাকে গভীরভাবে বিশ্লেষন করে তার মূলভাব, উপকারিতা বোঝানো হয়েছে যার ফলে নামাজের প্রতি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়ে যায়। এটাই বইয়ের সবচাইতে আকর্ষনীয় ও ইফেকটিভ পার্ট বলেই মনে হয়।
২য় অধ্যায়ে নামাজে মনোযোগের উপায় বাতলে দেয়া হয়েছে। ৩ টি ধাপ অবলম্বনের কথা এখানে বর্নিত হয়েছে যা পালন করলে ইনশা আল্লাহ উপকার পাওয়া যাবে। মূলত ১ম ও ২য় অধ্যায়ই বইটির মূল অংশ।
৩য় অধ্যায়টা একটু ব্যতিক্রমী। অনেকে গান বাজনার মধ্যে আকর্ষন পায় কিন্তু নামাজের মধ্যে পায় না। এর কারন ও স্বরূপ উদঘাটনের চেষ্টা করেছেন লেখক। পরের দুই অধ্যায়ও এই বিষয়টিকে ঘিরেই লেখা।
৪র্থ অধ্যায়ে বলা হয়েছে ভাল মানুষ, সফল মানুষদের রুচিবোধের বিষয়ে। সাধারন অর্থহীন বা অসংলগ্ন অর্থের গান বাজনার চাইতে নামাজের শব্দ, কুরআন তিলাওয়াতের শব্দ তাদের কাছে গ্রহনীয় ছিল। এবং গান বাজনা পরিত্যাজ্য ছিল।
৫ম অধ্যায়ে গান বাজনার অকার্যকারিতা ও ক্ষতিকর দিক তুলে ধরে হৃদয় প্রশান্তিকারক হিসাবে নামাজকে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে খুব দক্ষতার সাথে।
সবচেয়ে যা ভাল লেগেছেঃ নামাজের প্রতিটি কার্যক্রমের বিস্তারিত আবেগী বিবরন নামাজকে অন্যরকম উচ্চতায় নিয়ে যেতে সহায়ক হবে। কলেবর খুব বেশি বড় না হওয়ায় সহজে বহনযোগ্য ও আকর্ষনীয় এই বইটি আপনার টেবিলে বা খাটের পাশে সবসময় রেখে মাঝে মাঝে উল্টিয়ে দেখতে পারবেন।
Post a Comment