-->
zWZ3ZJ90R4zzhbql6NUZDSuEAK5vmsQ96TEJw5QR
Bookmark

Microsoft Excel – মাইক্রোসফট এক্সেল পরিচিতি। (পর্ব-০১)

কম্পিউটারের মধ্যে হিসাব-নিকাশ করার জন্য বিশ্যব্যাপি জনপ্রিয় প্রোগ্রাম হচ্ছে Microsoft Excel বা মাইক্রোসফট এক্সেল। এটি একটি স্প্রেডশীট প্রোগ্রাম। আমরা যে উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করি তা যে কোম্পানি তৈরি করেছে অর্থাৎ মাইক্রোসফট কর্পোরেশন সেই কোম্পানিই মূলত এটি তৈরি করেছে। যার মাধ্যমে সহজে অনেক কঠিন এবং বড় ধরনের ডাটা বা তথ্যের হিসাব-নিকাশ মুহুর্তের মধ্যে করে ফেলা যায়। আর এই প্রোগ্রামটি নিয়েই মূলত  আমার আজকের টপিক। এই প্রোগ্রামটিতে যেহেতু অনেক ধরনের ফাংশন এবং কাজ রয়েছে। সেহেতু এটি নিয়ে আমি ধারাবাহিকভাবে পর্ব আকারে পোস্ট করব বা আলোচনা করব। আজকে আমাদের এক্সেলের উপর একদম প্রথম টপিক। আমরা আজকে এর পরিচিত জানবো।

Microsoft Excel বা মাইক্রোসফট এক্সেল পরিচিতিঃ

আমরা প্রথমেই বলেছিলাম এক্সেল একটি স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম যা একটি সেল (Cell) বা ঘরের গ্রিড, রো (Row) বা সারি এবং কলামে (Column) সাজানো। এই সেলগুলিতে ডাটা এন্টার বা প্রবেশ, স্টোর বা সঞ্চয় এবং ম্যানিপুলেট করতে ব্যবহৃত হয়। এক্সেল স্প্রেডশিট প্রোগ্রাম মাইক্রোসফট অফিস প্যাকেজের একটি অংশ। মাইক্রোসফট অফিসের বর্তমান ভার্সন বা সংস্করণ হচ্ছে ২০২১। আমরা মোটামুটি সকলেই জানি যে মাইক্রোসফট অফিস প্যাকেজের ভিতরে অন্যান্য প্রোগ্রামগুলি হলো ওয়ার্ড, পাওয়ারপয়েন্ট, এক্সেস, আউটলুক, ওয়াননোট, এমএস পাবলিশার, এমএস প্রজেক্ট এবং এমএস ভিসিও। আর তার মধ্যে একটি হলো আমাদের আজকের টপিকের এক্সেল প্রোগ্রাম।

এক্সেল স্প্রেডশিটের দ্বারা হিসাব-নিকাশের ক্ষেত্রে একদম সাধারণ ধরনের কাজ থেকে একদম জটিল ধরনের কাজগুলি করতে পারবেন। যদিও এক্সেল বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় প্রোগ্রাম তবে এর ব্যবহারকারীদের মধ্যে অধিকাংশেরই এক্সেলের বিভিন্ন ধরনের ফাংশন সম্পর্কে খুব সীমিত জ্ঞান রয়েছে। এক জরিপে দেখা যায় ৭০% এক্সেল ব্যবহারকারী এক্সেলের ফাংশনগুলির মধ্য থেকে মাত্র ৫% এর মতো ফাংশন ব্যবহার করেন বা জানেন। বলতে গেলে এক্সেল প্রায় প্রতিটি প্রাতিষ্ঠানিক কাজেই ব্যবহার করা যায়। এক্সেলের কিছু ব্যবহার বা কাজ নিচে তুলে ধরা হলো।

  • ডাটা তৈরি, এডিট, শর্ট, অ্যানালাইজ, সামারাইজ এবং ফরমেট বা সাজানো।
  • ইঞ্জিনিয়ারিং এবং কনস্ট্রাকশন।
  • সাইন্স বা বিজ্ঞান।
  • জটিল গাণিতিক এবং পরিসংখ্যানগত গণনা।
  • জটিল ডাটা বিশ্লেষণ।
  • বাজেট।
  • অ্যাকাউন্টিং এবং বেতন।
  • বিনিয়োগ ও শেয়ার।
  • বিক্রয় ও বিপণন।
  • উৎপাদন পরিকল্পনা, উপাদান ব্যবস্থাপনা ও ইনভেন্টরি।
  • জটিল ডাটা ব্যবহার করে গ্রাফ এবং চার্ট তৈরি করা।
  • ম্যাক্রো ব্যবহার করে টাস্ক অটোমেশন করা।

উপরোল্লিখিত এইরকম আরো বিভিন্ন ধরনের জটিল হিসাব-নিকাশের কাজগুলি সহজে এক্সেলের মাধ্যমে করা যায়। তো আমরা ধীরে ধীরে পর্ব আকারে একের পর এক টপিকের মাধ্যমে এক্সেলের ব্যবহার ও কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। আজকে শুধু এক্সেলের পরিচিতিটা জেনে নিলাম। তাহলে আর কি সকলেই দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষা করুন।

আপনাদের সুবিধার্থে আমি আমার টিপস এন্ড ট্রিকসগুলি ভিডিও আকারে শেয়ার করার জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেছি। আশা করি চ্যানেলটি Subscribe করবেন।


Post a Comment

Post a Comment